মালদা

বিরল রোগের অস্ত্রোপচার করে এক মহিলার প্রাণ বাঁচালেন মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা

এর আগে কখনো করা হয়নি এমন বিরল রোগের চিকিৎসা।সেই বিরল রোগের অস্ত্রোপচার করে এবং মধরাতে অস্ত্রোপচারকারি মহিলার জন্য তিন ইউনিট রক্তের ব্যবস্থা করে মহিলার প্রাণ বাঁচালেন মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। রাত্রি জেগে চার ঘণ্টা ধরে চলে ওই মহিলার অস্ত্রোপচার।

            জানা যায় এই প্রথম মালদা মেডিক্যাল কলেজে গর্ভবস্থায় ভ্রুন ফেটে পেটের মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো রোগের জটিল অস্ত্রোপচার করলেন মেডিক্যাল কলেজের তিন সদস্যের দল। এই টিমের সঙ্গে জুনিয়ার ডাক্তারদের একাংশ পূর্ণাঙ্গ ভাবে সহযোগিতা করেছেন। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাঃ জয়দেব মন্ডল, ডাঃ অর্ণব সরকার এবং ডাঃ রামজীবন চন্দ্র এই তিনজন চিকিৎসক মিলেই ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করেছেন।  

            মালদা মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল অমিত দাঁ জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারকারি গর্ভবতী ওই মহিলার নাম মোহসিনা বিবি (২৮)। তার গর্ভবস্থায় ভ্রূণটি ফেটে জরায়ু থেকে পেটের বামদিকে কবনুয়ার মধ্যে জড়িয়ে গিয়েছিল। এতে ওই মহিলার পেটের ভেতরে বিপুল রক্তখরন হয়ে জমাট বেঁধে গিয়েছিল। এমন বিরল অস্ত্রোপচার এর আগে মালদা মেডিক্যাল কলেজে হয়নি। একে বারে শেষ অবস্থায় শনিবার রাতে ওই মহিলাকে চাঁচল থেকে তার পরিবারের লোকেরা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে এসেছিলেন। প্রচন্ড যন্ত্রণায় ছটপট করছিলেন ওই মহিলা। তাই ঝুঁকি নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের তিন সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করেই শুরু হয় চিকিৎসা। পরে রাত ১ টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত চলে অস্ত্রোপচার। এবং তাতে সফল হয় মালদা মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা। ওই মহিলাটি এখন সুস্থ এবং আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

            ওই মহিলার স্বামী সিরাজ আলি পেশায় দিন মজুর। তাদের বাড়ি মালদার চাঁচল থানার শ্রীপুর গ্রামে। রাত্রি জেগে প্রাণপণ চেষ্টা করে তার স্ত্রীর চিকিৎসা করে তাকে সুস্থ করে তোলায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং তার চিকিৎসকদের সাধুবাদ জানিয়েছেন ওই মহিলার পরিবার।